ডলারের ফরোয়ার্ড রেট বা ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণে নতুন নিয়ম চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ হারও।
রোববার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন নিয়মে এক বছর পর ব্যাংক ডলারের দাম বর্তমান দরের চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেরিতে হলেও এ উদ্যোগের সুফল মিলবে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে।
পশ্চিমা বিশ্বে বহু আগে চালু থাকলেও এখন বাংলাদেশেও শুরু হলো ডলারের ভবিষ্যৎ মূল্য বা ফরোয়ার্ড রেট। রোববার এ সংক্রান্ত এক সার্কুলারও জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নিয়মে ভবিষ্যতের জন্য ডলারের বুকিং দিয়ে রাখলে তাকে এক বছর পর ডলার প্রতি ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
ডিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ ও পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে, বর্তমানে আমদানিতে ডলারের দাম ১১০ টাকা। নতুন এ নিয়ম বাস্তবায়ন হলে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য তুলনামূলক সহজ হবে যা বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এখন যে পদ্ধতিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, সেটি পরিচিত স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, সেপ্টেম্বরেও যা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে নতুন এই নিয়মে ডলারের দাম ওঠানামা করলেও আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে বাড়তি খরচ গুনতে হবে না।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাস থেকে পণ্য বা সেবা খাতের রপ্তানি প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।