সৌদি আরবের একটি ফৌজদারি আদালত সেদেশের হাইস্কুলের এক ছাত্রীকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। মানাল গাফিরি নামে ওই স্কুলছাত্রী টুইটারে (এক্স) পোস্ট লেখার কারণে তাকে ওই কারাদণ্ড দেয় আদালত।
সৌদিআরব সরকার বিশেষ করে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ক্ষমতা গ্রহণের পর এ ধরনের কারাদণ্ড কিংবা ফাঁসির ঘটনা বেড়ে গেছে। লেখক, সমাজকর্মী, কবি, অন্যান্য যুবরাজ এমনকি ধর্মীয় নেতারাও এ ধরনের শাস্তি পেয়ে আসছেন।
আল-কেস্ত্ মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে আল-মাজদ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে ১৮ বছর বয়সী ছাত্রী মানাল গাফিরি রাজবন্দীদের সমর্থনে টুইট লেখার অপরাধে তাকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।
আল-মাজদ আরও জানিয়েছে বিন-সালমানের নিয়ন্ত্রণাধীন সৌদি আদালত সোশ্যাল মিডিয়া এবং সাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করায় এরকম বহু কঠোর শাস্তির রায় দিয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আল-গামেদির সাম্প্রতিক মৃত্যুদণ্ডের রায়ও এরকমই এক রায়ের মাধ্যমে হয়েছে। টুইটার এবং ইউটিউবে মতামত তুলে ধরার কারণে ওই শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বলেছে ২০১৭ সালে সৌদি নিরাপত্তা বিভাগে সংস্কার আনা হয়েছিল। ওই সংস্কারের ফলে সেদেশে নারী অধিকার রক্ষাকারী এবং সামাজিক কর্মীসহ ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর দমন পীড়নের মাত্রা বেড়ে গেছে।
news24bd.tv/তৌহিদ