আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় কিশোরীর আত্মহত্যা চেষ্টা

সংগৃহীত ছবি

আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় কিশোরীর আত্মহত্যা চেষ্টা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে এক কিশোরীর সাথে করা আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় আত্মহত্যা চেষ্টা চালিয়েছে ভুক্তভোগী। তবে স্বজনরা বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়ন পূর্ব রাস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই কিশোরী মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর উপজেলার কুমারটেক এলাকার শাহাবুদ্দিন মৃধার ছেলে ইমন মৃধার (২২) সাথে রাস্তি ইউনিয়ন পূর্ব রাস্তি এলাকার এক কিশোরীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

গেল আগস্ট মাসে ওই কিশোরীকে প্রেমিক ইমন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরে ওই কিশোরী বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ইমন ও তার পরিবার সময়ক্ষেপণ করে এক সময়ে বিয়ে না করার কথা জানায়।

এরপর ওই কিশোরী স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি জানালে ইমন মৃধা ক্ষিপ্ত হয়ে বেনামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে জোর করে ধর্ষণ করা সেই ভিডিওটি পোস্ট করে ভাইরাল করেন।

এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ওই কিশোরী লোকলজ্জায় বিষ পান করে। স্বজনরা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে তাকে।

কিশোরী জানান, আমার সাথে ইমন দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে ফোন করে দেখা করার কথা বলে। একটি রুমে নিয়ে আমার সাথে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করে; তা আবার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ইমন বিয়ের আশ্বাস দেয়। আমি ইমনকে বিয়ের কথা জানালে ইমন আমাকে না বলে দেয়। আমি স্থানীয় লোকদের জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সেই ভিডিওগুলো একটি ভুয়া আইডি খুলে পোস্ট করে। এতে এলাকার লোক আমাকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। সেই ভিডিওর কারণে আমি ঘর থেকে বের হতে পারি না। যেহেতু ইমন আমাকে বিয়ে করবে না সে কারণে আমার জীবনে রেখে লাভ কি? এ কারণে আমি বিষ পান করেছি।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ইমন আমার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের কথা বলে তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। মেয়ে বিষয়টি স্থানীয় শালিসের কাছে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই কাজটি করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ইমনের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি শুনে পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।

news24bd.tv/FA