রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের ২১তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সংগৃহীত ছবি

রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের ২১তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র কনভেশনের (এসডব্লিউসি) ২১তম সাধারণ সভা ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসি'র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন।

বিএনএসিডব্লিউসি'র সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী হতে ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনকে (সিডব্লিউসি) অধিকতর কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে করনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

সভায় বাংলাদেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়াদানের জন্য বাহিনীসমূহ কর্তৃক গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) এর কর্মপরিধি চূড়ান্তকরণ করা হয়েছে ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে।

দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসির সঙ্গে নিবন্ধনের জন্য তৈরি করা ওয়েব পোর্টালটি চালু করা হয়েছে বলে বিএনএসিডব্লিউসি'র নির্বাহী সেল সভাকে অবহিত করা হয়। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগীকরণে নেওয়া পদক্ষেপসমূহও সভায় উপস্থাপন করা হয়।

এছাড়াও বিএনএসিডব্লিউসি'র বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দলের বেনাপোল স্থল বন্দর পরিদর্শনের ফলাফল ও রাসায়নিক নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়ে সভাকে অবহিত করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের মতো অন্যান্য বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে চেয়ারম্যান, বিএনএসিডব্লিউসি বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। চেয়ারম্যান রাসায়নিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলো প্রস্তুতকরণ এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। অবশেষে, বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সবাই একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।