বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নাটোর প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু একটি হত্যা মামলায় এবং তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় হাজির না থাকায় তাঁদের জামিন বাতিল করেছেন নাটোরের দায়রা জজ আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক মো.শরীফ উদ্দীন জামিন বাতিলের আদেশ দেন। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের আইনজীবীরা বলেন, আজ পলাশ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য্য ছিল।

এই মামলার আসামি এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জামিনে ছিলেন। কিন্তু আজ তিনি
আদালতে ওই মামলায় হাজির ছিলেন না। তাঁর পক্ষে অসুস্থতাজনিত কারণে সময় চেয়ে দরখাস্ত দেন তাঁর আইনজীবী। আইনজীর্বী চিকিৎসকের কাগজপত্রও দরখাস্তের সাথে সংযুক্ত করে দেন।
তবে আদালত সময় চাওয়ার দরখাস্ত নাকোচ করে তাঁর জামিন বাতিল করেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

দুলুর আইনজীবী কাজী ওয়াজুল বারী বলেন, এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু গুরুতর অসুস্থ। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার কাগজপত্র সংযুক্ত করে আমরা সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু সময় মঞ্জুর না করে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন। একইসাথে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।

একই আদালতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী ও জেলা বিএনপির অহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার দিন ধার্য্য ছিল। তিনিও অসুস্থ থাকায়
আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাঁর পক্ষেও নিযুক্ত আইনজীবী সময় চেয়ে দরখাস্ত দেন। শুনানি শেষে আদালত দরখাস্ত নাকোচ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধেও
অভিযোগ গঠন করা হয়।

নাটোরের দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি আরিফুর রহমান জানান,ওই দুটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে আজ অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য্য ছিল। আসামিদের উপস্থিতিতেই অভিযোগ গঠন করতে হয়। আর আসামি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর জামিন বাতিল করতে হয়। এ কারণে আসামিদের জামিন বাতিল করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পুরাতন মামলা। দ্রুত বিচারের স্বার্থে হয়তো আদালত আসামিদের সময়ের দরখাস্ত মঞ্জুর করেননি।

এই রকম আরও টপিক