'সংস্কৃতিকে সকলের নিকট সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল অবদান রয়েছে'

'সংস্কৃতিকে সকলের নিকট সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল অবদান রয়েছে'

অনলাইন ডেস্ক

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সংস্কৃতিকে সকলের নিকট সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল অবদান ও সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কৃতির শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের সমাজকে রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রসার ঘটাতে হবে। এবং এটি করার সময় আমাদের অবশ্যই সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে যাতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং এ প্রক্রিয়ায় কেউ যাতে বাদ না যায় বা পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আজ কাতারের রাজধানী দোহাতে দুই দিনব্যাপী ১২তম ICESCO সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা সমাজের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ডিজিটাল এবং আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তি সকল সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্পকে প্রভাবিত করেছে। প্রভাবিত করেছে শিল্পকর্ম তৈরি, সম্পাদন এবং এর প্রচার, বিতরণ, বিপণন ও বিক্রয় প্রক্রিয়াকে।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ সহ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক ও শক্তিশালী উপাদানগুলিকে ব্যবহারপূর্বক সৃজনশীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের প্রাসঙ্গিক প্ল্যাটফর্মের সহ-অর্থায়নসহ সকল সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল ক্ষেত্রে আন্তঃসদস্য রাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের প্রসার ঘটাতে হবে।

 

কে এম খালিদ বলেন, ২০৩০ এজেন্ডা বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে যা ব্যবহার করে এ অঞ্চল ও এর আশেপাশে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও সহজতর করা যেতে পারে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্থাপনাসমূহের বিকৃতকরণ, ধ্বংস, লুটপাট এবং অবৈধ বাণিজ্য ও সীমান্ত পাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। সেজন্য আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ ইসলামী ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, প্রচার-প্রসার ও সংরক্ষণ নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন ও পেশাদার সক্ষমতা জোরদারকরণে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তৃতা দেন কাতারের সংস্কৃতি মন্ত্রী শেখ আব্দুল রাহমান বিন হামাদ আল থানি।