বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার কিছু মানুষকে হত্যা করতে পারবে, গুম-খুন গ্রেপ্তার করতে পারবে কিন্তু গণতন্ত্রকামী মানুষের জোয়ার ঠেকাতে পারবে না। দেশের মানুষ নিজের অধিকার ফিরে পেতে সংগ্রাম করছেন।
তিনি বলেন, স্যাংশন খাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখনও সময় আছে জনগণের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান, দেশের মানুষ ক্ষমা করলেও করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মির্জা আব্বাস খুলনায় বিভাগীয় রোডমার্চ শেষে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশে এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচন করতে হলে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধিনে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ ভোটাধিকার ফেরত চায়।
তিনি বলেন, আমেরিকায় জয়ের যে সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা তার নয়। ওই সম্পদ আমাদের। সে এমন কোনো চাকরি করে না যে এত সম্পদ তৈরি করতে পারবে।
বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারে আমলে একলাখ ৯ হাজার বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। ৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হারিয়ে গেছে। ব্যাংকে সোনা রাখলে সেটা তামা হয়ে যায়। এই সরকারে কাছে সকলেই অনিরাপদ।
খুলনার পাটকল বন্ধ হয়েছে এই সরকারের আমলে। শ্রমিকরা কি খেয়ে বাঁচবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রশাসন এই দেশের মানুষের সেবক, শাসক নয়। আমাদেরই আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, এই সরকারের পদত্যাগের পরে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সমাবেশে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শািফকুল আলম মনার সভাপতিত্ব বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শেখ সোহরাব উদ্দিন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আসাদুজ্জামান আসাদ, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, ডঃ ওবায়দুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, মাহমুদ হাসান খান বাবু, অমলেন্দু দাস অপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আমির এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু।
এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে খুলনা শিববাড়ী মোড়ে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছায় রোডমার্চ। দুপুর থেকে সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়। পশ্চিমে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, উত্তরে নিউমার্কেট ও দক্ষিণে তেতুলতলা মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি।