‘নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পাঁচগুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আবদুল মাতলুব আহমাদ

‘নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পাঁচগুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা’

শেরপুর প্রতিনিধি

আমদানি-রপ্তানিতে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সম্ভাবনা অনেক বেশি, যা এক বছরের মধ্যে আরও পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টম্বর) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুঁগাও স্থলবন্দর পরিদর্শনের আগে সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  

মাতলুব আহমাদ বলেন, বেনাপোল ছাড়াও দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি সম্ভাবনাময়। কারণ, ঢাকা থেকে অন্যান্য বন্দরের চেয়ে এই বন্দরের দূরত্ব অনেক কম, মাত্র ১৯৫ কিলোমিটার।

আমরা চাই, শুধু ভারত থেকে আমদানি নয়, ভুটান থেকেও সব বৈধ পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে। এ জন্য এ বন্দরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যোগান দেবো। যাতে খুব সহজেই আমদানি-রপ্তানি করে এ অঞ্চলের অর্থনীতি পাল্টে যায়। আমার মতে, শেরপুরের ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করলে নাকুগাঁও বন্দরটি বাংলাদেশের সেরা বন্দর হবে।

পরে তিনি নাকুগাঁও স্থলবন্দর প্রাঙ্গণে শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে বাংলাদেশের বাণিজ্য উন্নয়নে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভায় শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আসাদুজ্জামান রওশনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির, আইবিসিসিআই’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শারমিন হক, অ্যাডমিন অফিসার সঞ্জীব কুমার বালা, নালিতাবাড়ী পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা কাস্টমস, ভ্যাট ও এক্সাইজের সহকারী কমিশনার আবুল বাশার মো. আব্দুল্লাহেল কাফী, নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ, নাকুগাও স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকারসহ অনেকেই।

এর আগে আইবিসিসিআই সভাপতি শেরপুরে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অফিসে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

news24bd.tv/আইএএম