গত আট মাসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। আঁচল ফাউন্ডেশন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালনা করে। এতে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মানসিক অস্থিরতার কারণে এই পথ বেছে নেন। ৩০ শতাংশের আত্মহত্যার কারণ অজানা। এ ছাড়া প্রেমের ঘটনায় ১৭ শতাংশ, পরিবারিক কারণে ১১ শতাংশ, আপনজনের সঙ্গে অভিমানে ৯ শতাংশ, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ১.৫ শতাংশ এবং একাডেমিক চাপে ১.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৮৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন।
চলতি বছর গত আট মাসে ৬৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রতি মাসে আত্মহত্যার হার গড়ে ১ শতাংশ বেশি।
সংগঠনটি জানায়, গত আট মাসে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৩৬১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ১৪৭ জন।
আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্কুলগামী শিক্ষার্থী—১৬৯ জন, এরপর কলেজ শিক্ষার্থী ৯৬ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৬৬ জন এবং মাদরাসার শিক্ষার্থী রয়েছে ৩০ জন।
২০২২ সালে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে তুলনায় চলতি বছর আত্মহত্যার হার কিছুটা বেড়েছে। গত ২১ আগস্ট শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
news24bd.tv/আইএএম