লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের চরচামিতা এলাকায় স্বামী আলমগীর হোসেনকে হত্যা মামলায় স্ত্রী ইয়ানুর বেগমকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও পরকীয়া প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ের সময় আবদুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী ইয়ানুর বেগম পলাতক ছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার চরচামিতা এলাকায় আলমগীর হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখেন আসামিরা।
পরেরদিন সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ১৫ অক্টোবর চন্দ্রগঞ্জ থানায় আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ইয়ানুর বেগম ও প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে আসামি করে নিহতের বাবা লাতু মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকে ইয়ানুর বেগমের সাথে প্রেমিক আবদুর রাজ্জাকের পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিউকিটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরকীয়ার জেরে আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ইয়ানুর বেগমের প্রেমিক আবদুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
news24bd.tv/কেআই