ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ওবায়দুর সাঈদ এর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ। আবাসিক হলে থাকা এ শিক্ষার্থীকে রাতভর আটক করে দফায় দফায় নির্যাতন চালানোর খবর পেয়ে ১৮ ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রায় ৩৬ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ওবায়েদের ফোন ছাত্রলীগ ও ক্যাম্পাস প্রশাসনের কাছে জব্দ।
নির্যাতনের শিকার হওয়া ওবায়েদ সাঈদের রুমমেট ও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত বারোটার পর ফরহাদ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা রাউফুর রহমান সোহেল সাঈদের বুকে লাথি মারে, এলোপাতাড়ি মুখে কানে চড়-থাপ্পর মারে।
এরপর সোহেল ওই সাংবাদিকের গলায় পা রেখে ফোনের লক খুলতে বাধ্য করে। সংবাদকর্মী ও সাংবাদিক সমিতির গ্রুপের কথোপকথন স্ক্রিন ভিডিও করে নেয়।ওবায়েদের এক বন্ধু ও রুমমেট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সোহেলের হাত থেকে ওবায়েদকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সোহেলের হিংস্র আচরণের কাছে আমরা অসহায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওবায়েদের ফোন এখনো জব্দ। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে জানতে হল প্রভোস্ট নাসির উদ্দিন বলেন, পুরো ঘটনাটি প্রিন্সিপাল স্যার দেখছেন আমি কিছু বলতে পারব না।
ঢাকা কলেজের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক কুদ্দুস শিকদার বলেন, ওবায়েদের বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। আর ওবায়েদ এর ফোন তদন্ত শেষে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বলেন, আজকে কলেজে ছাত্রলীগের বড় কর্মী সভা চলছে। আমি একটু ব্যস্ত আছি এটা নিয়ে কমিটি গঠন হয়েছে পরে কথা বলব।
হামলাকারী রাউফুর সোহেল বলেন, আমি কর্মী সভায় ব্যস্ত এখন কথা বলতে পারব না।
উল্লেখ্য, সোহেল বিবাহিত ছাত্রনেতা, তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। নীলক্ষেতে ব্যবসায়ীদের নির্যাতন, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
news24bd.tv/তৌহিদ