নাটোরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ৩৭ জন মিনি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩১০ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে ৩১০জন যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে বাছাই করে অন্যদের বাদ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে আছে ৩৭ জন মিনি ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম।
ভুক্তভুগীরা রোববার দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচিত এসব মিনি ঠিকাদাররা কাজ করতে না পেরে বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে আছেন। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য ভুক্তভুগীরা পল্লী বিদ্যুৎ এর সদর দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলেও তারা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০১ এর বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ৩৭জন মিনি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেন।
সারাদেশ থেকে পাঁচ শতাধিক মিনি ঠিকাদার পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে কাজ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনকারীদের সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে পরের বছরের ১৯ অক্টোবর ৩৭ জনের স্থলে ৩১০ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হিসেবে তালিকাভূক্ত করেন। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০১ এর বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৩১০ জনকে মিনি ঠিকাদারের সকল কাগজপত্র ও জনবল যাচাই করলেও আজ পর্যন্ত তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
তাদের অভিযোগ এই ১৩জন তাদের কাজ কমে যাওয়ার ভয়ে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করছে। রোববার ঠিকাদার জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ঠিকাদার রবিউল করিমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড মিনি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক শেখ শাহাবাজ আলী, সদস্য সচিব মো. মোরশেদ আলম, যুগ্ম আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক ও রবিউল করিম প্রমুখ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক বলেছেন, ৩১০টি যোগ্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে সময় লাগছে।
ঘটনাটি তার সময়ে না হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ৩১০ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল কি না সেটা তার জানা নেই বলে তিনি দাবি করেন।