এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে দেশসেরা ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। আজ সোমবার ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ভারতের ওড়িশা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কিংস। জোড়া গোল করে জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন দরিয়েলতন গোমেজ। অন্য গোলটি আসে মিগেল ফেগেরার কাছ থেকে।
মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া এফসির কাছে হেরে এ ম্যাচ শুরু করে বসুন্ধরা কিংস। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে অবশ্য প্রথমে গোল হজম করে কিংসই। ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ওড়িশা এফসি। মাভিমিংথাঙ্গা জেরির সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে বক্সে বল বাড়ান লালডিনলিয়ানা।
প্রথমার্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে দুবার গোল শোধ দেওয়ার দারুণ এক সুযোগ হারায় কিংস। ৩২ মিনিটে বক্সে দরিয়েলতনের কাটব্যাক থেকে ভালো শট নেওয়ার সুযোগ ছিল রোবিনহোর। খানিকটা দ্বিধা নিয়ে রবসন যে শট নিলেন সেটি ঠেকিয়ে দেন ওড়িশা ডিফেন্ডার লালডিনলিয়ানা। ৩৬ মিনিটে দরিয়েলতনের শট খুঁজে পায়নি জাল।
তবে তিন মিনিট পরেই গোল না পাওয়ার আক্ষেপ মিটে যায় স্বাগতিকদের। ৩৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে দারুণ দক্ষতায় টাচ লাইনের ওপর থেকে বক্সে চিপ করেন রোবিনহো। এই ব্রাজিলিয়ানকে আটকাতে গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংও চলে গিয়েছিলেন, তাতে গোলপোস্ট হয়ে যায় ফাঁকা। ফাঁকা পোস্টে রোবিনহোর চিপ ধরে হেডে বল জালে জড়ান আরেক ব্রাজিলিয়ান মিগেল ফিগেইরা।
বিরতিতে যাওয়ার আগেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় কিংস। রাকিবের ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে দরিয়েলতনের দারুণ হেড জড়িয়ে যায় জালে। তাতে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।
এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা কিংস বাড়ায় আক্রমণের ধার। যারপরনাই ৫৪ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় কিংস। দোরিয়েলতন করেন নিজেদের দ্বিতীয় গোল। রবসনের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান দোরিয়েলতন। ডান পায়ের জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। তবে ৬৬ মিনিটে ব্যবধান কমায় জেরি লালজুয়ালা। সাকামতির শট ফিরিয়ে দিলে রিবাউন্ড বলে শট করে বল জালে জড়ান জেরি (৩-২)। ৬৮ মিনিটে এক প্রচেষ্টায় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন রবসন। ওড়িশার চার ফুটবলারকে কাটিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে রবসন। তবে তার শট পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।
৭৩ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ মিস করেন দোরিয়েলতন। ওড়িশার দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন কিংসের দুই তারকা রবসন এবং দোরিয়েলতন। রবসনের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি দোরিয়েলতন। শেষ দিকে দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনো দলই।
news24bd.tv/SHS