‌‘২১ ভাগ হৃদরোগী কোন ধরনের চিকিৎসাই নেন না’

সংগৃহীত ছবি

‌‘২১ ভাগ হৃদরোগী কোন ধরনের চিকিৎসাই নেন না’

অনলাইন ডেস্ক

যে কোন বয়সী মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। পুরুষের হৃদরোগের প্রবণতা বেশি থাকলেও বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হৃদরোগের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকেন নারীরাও। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশের পেছনে আছে হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তনালির রোগ।  

আশংখাজনক তথ্য হলো, দেশে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ২১ ভাগ কোন ধরনের চিকিৎসাই নিচ্ছেন না।

উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথচ জানেন না এমন সংখ্যা ৫০ ভাগ। অথচ সময় মত সঠিক চিকিৎসা নিলে ৮০ ভাগ হৃদরোগী সুস্থ হতে পারেন। এখন হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় আয়োজিত পেশেন্ট ফোরাম ও সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উক্ত হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

পেশেন্ট ফোরামে বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের হৃদরোগ বিষয়ক নানা সমস্যা ও রোগ সংক্রান্ত সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, দেশ সেরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে হার্টের যে কোন চিকিৎসায় এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ২৪ ঘণ্টা খোলা। এখানে রয়েছে বিশ্বমানের কম্প্রিহেনসিভ কার্ডিয়াক-কেয়ার, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারি, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি, হার্ট ফেইলিওর অ্যান্ড অ্যারিদমিয়া ইউনিটের মতো বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা।

হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এগুলো হলো, বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, কমপক্ষে সপ্তাহে পাঁচ দিন হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম দেয়া, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, অতিরিক্ত তেল এবং চর্বি জাতীয় খাদ্য বর্জন, ধূমপান না করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা, মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করা ইত্যাদি। পাশাপাশি কারো হার্ট সুস্থ আছে কিনা তা জানতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা রুটিন চেকআপ করাও জরুরী।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. এ. কিউ. এম. রেজা, সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামস মুনওয়ার, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আতিকুর রহমান, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তামজীদ আহমেদ, হার্ট ফেইলিওর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম. আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নিঘাত ইসলাম প্রমুখ। তারা রোগীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন মেডিকেল সার্ভিস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ ও চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ভিনয় কাউল।
news24bd.tv/A