কবিরাজ সেজে কিশোরীকে ধর্ষণ,  আসামির যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

কবিরাজ সেজে কিশোরীকে ধর্ষণ,  আসামির যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

বাগেরহাটের কচুয়ায় কবিরাজ সেজে কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় ফেরদাউস শেখ নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ৯ বছর পরে সোমবার দুপুরে বাগেরহাট নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।  

ফেরদাউস শেখ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ঝালডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ দুপুরের দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় ভুক্তভোগী কিশোরীর ঘরে ঢোকেন কবিরাজ পরিচয় দেওয়া ফেরদাউস শেখ। পরে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনার ৭ মাস পর ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফেরদাউস শেখকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

 

২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে ফেরদাউস শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আজ আদালত অভিযুক্ত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আদালত আরও বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর সন্তানের বয়স ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে। শিশুর ভরণপোষণে যে অর্থ ব্যয় হবে তা সরকার আসামির বিদ্যমান সম্পত্তি বা ভবিষ্যতে প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে আদায় করতে পারবে।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান এবং আসামির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী শেখ আনিছুর রহমান।