‘স্যাংশনও দিবে নিরাপত্তাও চাইবে এ কেমন কথা’

সংগৃহীত ছবি

পিটার হাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

‘স্যাংশনও দিবে নিরাপত্তাও চাইবে এ কেমন কথা’

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতকে তারা কতটা নিরাপত্তা দেয়, আমি (মার্কিন নিরাপত্তা) উপদেষ্টার সামনে এ প্রশ্নটা করেছি। তাদের দেশে যত্রতত্র মানুষ গুলি করে হত্যা করে। এগুলো নিয়ে প্রশ্ন নেই।

আমাদের এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে এত কথা কেন?

তিনি প্রশ্ন করেন, তারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্যাংশনস দেয়, আবার নিরাপত্তা চায়, এটা কেমন?

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগদানের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তার বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া মার্কিন দূতাবাস অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য রয়েছে আলাদা বডিগার্ড।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের নিরাপত্তায় পুলিশ দরকার।

এজন্য (প্রটোকলের) কিছু পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর বদলে তো গানম্যান দেওয়া হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়?

সংবাদ সম্মেলন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো কথা বলেছেন কি না। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বলেন, তারা তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দিবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে গত ১৭-২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

news24bd.tv/A