ভাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১

সংগৃহীত ছবি

ভাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছচাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক গৃহবধূর। ঘরের নিচে ও গাছের ডাল ভেঙে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।  

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিমউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে ওই উপজেলায় ছোট হামিরদী ও আজিমনগর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডবে এ ঘটনা ঘটে।  

ঘূর্ণিঝড়ে নিহত গৃহবধূ হলেন- একই উপজেলার ছোট হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেকের স্ত্রী ঝর্না বেগম (২০)। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে গাছ উপড়ে পড়ে তার বসতঘরে। এ সময় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালায়। তখন ঝর্না তার নিজ ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ঝড়ে গাছ উপড়ে ঘরে ওপর পড়ে। এতে ঘর ভেঙে চাপা পড়ে ঝর্না। তাকে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

একই সময়ে হামেরদী গ্রামেও ঘূর্ণিঝড়ের এক মিনিটের তাণ্ডবে এলাকার শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। ফলে বন্ধ আছে বিদ্যুৎ সংযোগ। শুক্রবার বিকেলে পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়নি।  

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় হামিরদী ইউনিয়ন ও আজিমনগর ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চালসহ ডাল, তেল, আটা ও লবণ সহায়তা দেওয়া হয়।  

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে দুইটি গ্রাম লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে পরে এদের আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

news24bd.tv/কেআই