ব্যাটিংয়ে দাপট না দেখালেও পাকিস্তানের বড় জয়

সংগৃহীত ছবি

ব্যাটিংয়ে দাপট না দেখালেও পাকিস্তানের বড় জয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রথমে পাকিস্তানি ব্যাটারদের ভুগিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ডাচ ব্যাটাররাও একই তালে দাপট দেখাতে শুরু করেন। যা বাবর আজমের দলকে শোচনীয় কোনো ফলাফলের শঙ্কায়ও ফেলে দিচ্ছিল। তবে ডাচ ব্যাটারদের ঠিক ‘গলার কাঁটা’ হয়ে উঠতে দেননি হারিস রউফ ও হাসান আলীরা।

এতে ৮১ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ম্যান ইন গ্রিনরা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মোটামুটি দেখেশুনেই খেলছিল ডাচরা। তবে দলীয় ২৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় তারা। ষষ্ঠ ওভারে ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও'দাউদকে ফেরান হাসান আলি।

বিদায়ের আগে ১২ বল মোকাবেলায় ৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

১২তম ওভারে আবারও ধাক্কা খায় দলটি। এবার বল হাতে এসেই আস্থার প্রতিদান দেন ইফতেখার আহমেদ। সুইপের লোভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ২১ বলে ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন কলিন আকারম্যান। এরপর বিক্রমজিৎ সিং আর বাস ডি লেডের ব্যাটে পাকিস্তানকে ভালোই জবাব দিচ্ছিল তারা। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজনে মিলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। তবে ফিফটি হাঁকিয়েই সাজঘরে ফেরেন বিক্রমজিৎ। বিদায়ের আগে ৬৭ বলে ৫২ রান করেন তিনি।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বোলিংয়ে এসে শুরুতেই পাক ব্যাটারদের চেপে ধরেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। যে কারণে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের আগেই পাকিস্তানের ৩টি উইকেট তুলে নেন ডাচ বোলাররা। ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন ফখর জামান (১২), অধিনায়ক বাবর আজম (৫) ও ইমাম উল হক (১৫)।

দলের সংগ্রহ ৩৮ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল জুটি। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজনে মিলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। এর মাঝে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন শাকিল। আর রিজওয়ান হাঁকান তার ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি।

তবে দলীয় ১৫৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সৌদ শাকিল। বিদায়ের আগে ৫২ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর রিজওয়ান নিজেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১৮২ রানে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে বোল্ড হয়ে যান পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। এরপর স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরের পথ ধরল ইফতেখার আহমেদও (৯)।

এতে বড় সংগ্রহের যে পথে এগিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান, তা ভেস্তে দেন ডাচরা। এরপর সপ্তম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান। তবে দলীয় ২৫২ রানের মাথায় পরপর দুই বলে শাদাব ও পেসার হাসান আলীকে বিদায় করেন বাস ডি লিড। শাদাব ৩৪ বলে ৩২ রান করেন। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৯ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদি ১৩ ও হারিস রউফ করেন ১৬ রান। এতে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।

বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই চার উইকেট শিকার করেন বাস ডি লিট। কলিন অ্যাকারম্যান ২ উইকেট পান। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন আরয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বিক ও পল ভ্যান মিকিরেন।