বাগেরহাটের শরণখোলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে কক্ষে প্রায় দুই মাস ধরে তালা ঝুলছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (স্বাস্থ্যকর্মী) আল্লামা ইকবাল মোর্শেদ বদলি হয়ে এক্স-রে কক্ষে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে চলে গেছেন।
যে কারণে মেশিন থাকার পরও এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারি এই জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে গত ২০ আগস্ট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আল্লামা ইকবাল মোর্শেদকে বদলি করা হয়। ওই দিন তিনি যশোর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে যোগদান করেন।
কিন্তু তিনি এক্স-রে মেশিন ও মালামাল কোনো কিছুই বুঝিয়ে না দিয়ে কক্ষে তালা লাগিয়ে চলে যান।
তিনি আরো জানান, আল্লামা ইকবাল মোর্শেদ ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকে এপর্যন্ত দুটি এক্স-রে মেশিন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পরে নতুন অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপনের পর তাও বার বার ত্রুটি দেখানো হয়। তার যোগদানের পর থেকে এপর্যন্ত ৩১ বার এক্স-রে মেশিন মেরামতের জন্য ন্যাশনাল ইলেক্ট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ সেন্টারে (নিমিউ) আবেদন করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন ও এম ওয়াদুদ আকন বলেন, শরণখোলা হাসপাতালের এাক্স-রে মেশিনটি প্রায় দুই মাস বন্ধ। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সেবা বঞ্চিত মানুষের মাঝেও ক্ষোভ বাড়ছে। তারা এক্স-রে মেশিনটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে আতাত করে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি কৌশলে নষ্ট রেখে রোগী বাইরের ক্লিনিকে পাঠাতেন ইকবাল মোরর্শেদ। এ কারণে তিনি তদবির করে আবার শরণখোলায় দবলি হয়ে আসার চেষ্টা করছেন বলে চাবি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রেডিওগ্রাফি আল্লামা ইকবাল মোর্শেদের মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।