জিম্মিদের মুক্তি দিতে যে শর্ত দিল ফিলিস্তিনিরা

সংগৃহীত ছবি

জিম্মিদের মুক্তি দিতে যে শর্ত দিল ফিলিস্তিনিরা

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়া হলে নিজেদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও ছেড়ে দেবে হামাস। সোমবার (১৬ অক্টোবর) কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা খালেদ মেশাল।

হামাসের সাবেক প্রধান এবং বর্তমানে দোহায় ডায়াস্পোরা কার্যালয়ের প্রধান খালেদ মেশাল আলআরাবি টিভিকে বলেছেন, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে অনেক ফিলিস্তিনি বছরের পর বছর ধরে বন্দি রয়েছেন। আমরা তাদের মুক্তি চাই।

যদি ইসরায়েলের সরকার কারবন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করে, তাহলে আমরাও সবাইকে ছেড়ে দেব।

তিনি বলেন, সব বন্দিকে মুক্ত করে জেলখানাগুলো ফাঁকা করে দেয়ার জন্য যে পরিমাণ জিম্মি প্রয়োজন, ততসংখ্যক জিম্মি আছে হামাসের হাতে।

এর আগে ২০১১ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্তির বিনিময়ে একশোর বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছিল। শালিতকে পাঁচ বছর আটকে রেখেছিল হামাস।

এবারের ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়েও একই হারে ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়িয়ে আনার আশা করছে হামাস।

ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মধ্যে থাইল্যান্ড ও জার্মানির নাগরিকও আছেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা অনেক ইসরায়েলিও হামাসের হাতে আটক হয়েছেন বলা ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার ফ্রাঙ্কো-ইসরায়েলি এক জিম্মি নারীর ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে হামাস।  

প্রায় দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়ার পর গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস এবং সূর্যের আলো ফোটার আগেই ইসরায়েলের দক্ষিণাংশের সীমান্ত বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ওই ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শত শত সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা।

প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্য ও প্রস্তুতির অভাবে হামলার শুরুর দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা কাটিয়ে পূর্ণ শক্তিতে যুদ্ধের ময়দানে নামে ইসরায়েল এবং প্রথম দিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। হামাসের হামলায় প্রথম দিনই ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন কয়েক শ’ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

এছাড়া এই দিন ইসরায়েল থেকে দেড় শতাধিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বন্দি করে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এই বন্দিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে—তা এখনও অস্পষ্ট, তবে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মেশাল ইঙ্গিত দিয়েছেন— তাদের যতদূর সম্ভব নিরাপদে রাখা হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

news24bd.tv/A