টাঙ্গাইলে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

মির্জাপুরে দেনমোহরের টাকা পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে বাকবিতন্ডায় ছুরিকাঘাতে আল আমিন (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আল আমিনের বন্ধু নাঈম গুরুতর আহত হয়েছে। আহত নাঈমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।  

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

তৌফিকুর রহমান তুহিন নামের এক যুবক তাদেরকে ছুরিকাঘাত করে বলে জানা গেছে।  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের গুণটিয়া বেপারীপাড়ার বাদশা মিয়ার মেয়ে মিমের গত ৫ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়।  

স্থানীয় মাতাব্বরগণের সহযোগিতায় তারা পুনরায় সংসার করতে থাকেন।

বিগত কয়েক মাস আগে তাদের মধ্যে আবার অশান্তি শুরু হলে দুই মাস আগে মিমের বড় ভাই আল আমিন, তার বন্ধু নাঈম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের নাতি তৌফিকুর রহমান তুহিন ওরফে তফি মিলে কালিয়াকৈরে গিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক করে। পরে শালিসের মাধ্যমে আপোষে তাদের মধ্যে খোলা তালাক করানো হয়।  

এদিকে আল আমিনের বন্ধু তৌফিকুর রহমান তুহিন ওরফে তফি মিমের পক্ষ থেকে কোনও মামলা মোকাদ্দমা করা হবে না শালিসে আপোষে খোলা তালাক করিয়ে দেবেন এমন চুক্তিতে গোপনে মিমের স্বামী জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা গ্রহণ করেন।  

গত সোমবার মিমের স্বামী জাহিদুল ইসরাম পাকুল্যা এলাকায় এসে আল আমিনকে বলেন, ‘বোনকে ডিভোর্স করিয়ে দুই লাখ টাকা নিলেন এরপরও ভাড়া সিএনজি চালান কেন। ’ টাকা নেয়ার কথা শুনে আল আমিন হতভাগ হয়ে পড়েন এবং তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে আল আমিন জানতে পারেন, তার বোনকে দিয়ে খোলা তালাক করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বন্ধু তফি মিমের স্বামীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন।

এ কথা জানার পর আল আমিন গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পাকুল্যা এলাকায় তফির গলায় গামছা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে তাকে অপমান করেন এবং টাকা ফেরৎ চান। তফি এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আল আমিনকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে করেন। এ সময় পাশে থাকা আল আমিনের বন্ধু নাঈমও ছুরিকাঘাতে আহত হন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আল আমিনের মৃত্যু হয়। আহত নাঈমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।  

মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান,তৌফিকুর রহমান তুহিন ওরফে তফি নামে এক যুবক ছুরিকাঘাত করে এক জনকে হত্যা করে এবং অপর একজনকে আহত করেছে। তাকে ধরতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।