সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। এই উৎসবকে আরও আনন্দময় ও উৎসবমূখর করতে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মেট্রোরেলের আদলে মন্দিরে তৈরি হয়েছে প্রবেশ পথ। যা ভক্তের মন কেড়েছে। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে ও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে আশাশুনি উপজেলার মহেশ্বরকাটি সার্বজনীন পূজা কমিটির আয়োজনে মন্ডপের সামনে খালের উপর তৈরি করা হয়ে মেট্রোরারেলের আদলে এই মন্দিরে প্রবেশ পথ।
২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দেবী দূর্গা ঘোড়ায় (ঘোটকে) চড়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্তলোকে আসবেন। ২৫ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আবারও ঘোড়ায় চরে ফিরে যাবেন স্বর্গলোকে।
প্রতিমা শিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, কাঠ, বাঁশ, ককশিট, সুতা ও ধানের গুড়াসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মন্ডপের প্রবেশ পথ।
সাতক্ষীরা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ৬০৬টি মন্ডপে পূজা হবে। মেট্রোরারেলের আদলে মন্দিরে তৈরি প্রবেশ পথ দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় প্রতিদিন ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মূখরিত থাকছে মন্ডপ প্রাঙ্গন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজায় নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র জেলাবাসীকে দেখানোর জন্য মেট্রোরেলের আদলে ব্যতিক্রমী এই মন্ডপের প্রবেশ পথ তৈরি করেছে পূর্জা উৎযাপন কমিটি। যা দেখে ভক্তবৃন্দ যেমন খুশি হচ্ছেন তেমনি প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় হচ্ছে। তিনি জেলাবাসীকে মহেশ্বরকাটি সার্বজনীন পূজা দেখতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেষার মানুষকে আশার জন্য আহবান জানান।