এডিসি হারুনকাণ্ডে চারজন অভিযুক্ত

সংগৃহীত ছবি

এডিসি হারুনকাণ্ডে চারজন অভিযুক্ত

অনলাইন ডেস্ক

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত প্রায় শেষ। এ ঘটনায় চার-পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। দায় এড়ায়নি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক ও এডিসি হারুন অর রশিদের। উঠে এসেছে শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন্স) গোলাম মোস্তফা ও হারুনের দেহরক্ষী আলী হোসেনের নামও।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, এডিসি হারুন ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় এনে বিষয়টি জটিল করে ফেলেছেন। পুরো ঘটনায় পুলিশ বিব্রত। তারা মনে করে, এ ঘটনা ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে অস্বস্তিকর ও আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এপিএস আজিজুল হক তার স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখে শারীরিকভাবে আঘাত না করে তাৎক্ষণিকভাবে ওপরে কাউকে জানিয়ে ঘটনা এড়াতে পারতেন।

পুলিশের এ তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ্ জানান, এ ঘটনায় পৃথকভাবে প্রত্যেকের দায় নিরূপণ করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন এখনও জমা দেওয়া হয়নি। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে, শিগগির জমা দেওয়া হবে।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ তোলা হয় পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, এডিসি হারুন শনিবার বিকেলে ৩১তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পরিচয় দেওয়া ৩১তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতেই ঘটনা মীমাংসা করে দেন।

তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এর পরেই প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটে।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক