অবশেষে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা দু’সপ্তাহের অবরোধে আটকে থাকার পর মাত্র ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে।
মিশর থেকে ছোট একটি কনভয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গাজায় প্রবেশ করার সত্যতা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে হামাস।
হামাসের মিডিয়া অফিস ইতোপূর্বে জানিয়েছিল, আজ যে ত্রাণবাহী ২০ টি ট্রাক গাজায় প্রবেশের কথা রয়েছে তাতে রয়েছে ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী এবং সীমিত পরিমাণ টিনজাত খাদ্যপণ্য।
৩ হাজার টনের মতো ত্রাণবাহী ২ শতাধিক ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার জন্য কয়েকদিন ধরে ক্রসিংয়ের কাছে অবস্থান করছিল।মিশর এবং গাজার মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিংটি ইসরাইল অবরোধ করে রেখেছে দীর্ঘকাল ধরে। পুরোপুরি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিশর সীমান্তের ওই রাফাহ ক্রসিং।
প্রসঙ্গত, মিশরের সিনাই মরুভূমি থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথক করা এই সীমান্তপথটি উপত্যকার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত।
৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি, যাদের এক তৃীতিয়াংশেরও বেশি সরাসরি জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণ এবং আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অপর দুই সীমান্ত প্রায় সময়েই বন্ধ থাকায় এই রাফাহ ক্রসিং দিয়েই গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ত্রাণের সরবরাহ। এ কারণে এই ক্রসিংটি গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘লাইফ লাইন’ নামেও পরিচিত।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তর দিকের সীমান্ত ইরেজ দিয়ে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ), যা এখনও চলছে।
প্রায় একই সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং এলাকায়ও আইএএফ বোমা বর্ষণ শুরু করলে মিসর ওই সীমান্তপথ বন্ধ করে দেয়।
ফলে একদিকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা অভিযান আর অন্যদিকে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রীর সরবহা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত দু’ সপ্তাহের যুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা।
news24bd.tv/তৌহিদ