পেট্রাপোল সীমান্তে ১১ স্বর্ণের বার উদ্ধার, দুই বাংলাদেশি আটক

প্রতীকী ছবি

পেট্রাপোল সীমান্তে ১১ স্বর্ণের বার উদ্ধার, দুই বাংলাদেশি আটক

অনলাইন ডেস্ক

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১.২৪ কোটি রূপে মূল্যের ১১ স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার বাহিনীর দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্ট (আইসিপি)- এ কর্তব্যরত ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বিভিন্ন আকারের ১১ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় দুই বাংলাদেশি পাচারকারীকে।  

অভিযুক্ত চোরাকারবারীরা ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের একটি আন্তর্জাতিক বাসে করে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণের বার পাচারের চেষ্টা করছিল।

কিন্তু তার আগেই বিএসএফ'এর হাতে ধরা পড়ে যায় ওই দুই পাচারকারী। তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারগুলোর সম্মিলিত ওজন ২০৪৮.৩৮০ গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য ১,২৩,৮২,৪৫৭ কোটি রুপি।  

শনিবার বিএসএফের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী একটি আন্তর্জাতিক বাস (রেজিস্ট্রেশন নং DHME-BA ১২-০৪৭৪) নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য আইসিপি পেট্রাপোলের বাস চেকিং পয়েন্টে এসে পৌঁছায়।

এ সময় ১৪৫ ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ-এর বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড দল এবং স্নিফার ডগ স্কোয়াডের নিয়মিত অনুসন্ধানের সময়, সদস্যরা সিট নম্বর বি-১ এবং ডি-৪ এর পাদানিতে লুকিয়ে রাখা টেপ দিয়ে মোড়ানো বিভিন্ন আকার এবং আয়তনের ১১ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে স্বর্ণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা কোনো উত্তর দেননি। পরে বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে আটক করে ওই ১১ টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। তবে বাসের হেলপার যাত্রীদের মধ্যে মিশে গেলে তাকে ধরা যায়নি, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

গ্রেফতারকৃত দুই বাংলাদেশী পাচারকারীকে সনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন ওই বাসটির চালক তথা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার অধীন বরপা পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৬১ বছর বয়সী মো. দেলোয়ার হোসেন এবং দ্বিতীয় জন সাভারের পশ্চিম কোটাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী মো. সামিম মাহমুদ। ৫০ বছর বয়সী সামিম বাসটির সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত।  

জিজ্ঞাসাবাদের সময় মো. দেলোয়ার হোসেন তাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রকাশ করে। সে আরও জানায়, সে জীবিকা নির্বাহের জন্য বাস চালক হিসাবে কাজ করে এবং গত ২০ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছে।  লুকানো স্বর্ণ উদ্ধারের বিষয়ে সে কিছুই জানে না বলে জানায়। মো. সামিম মাহমুদ জানায়, সে জীবিকা নির্বাহের জন্য বাস সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করে এবং গত ১২ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না, তবে তাদের সাথে থাকা হেলপার কামারুল হোসেন উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বিষয়ে জানতে পারে বলে জানায়। কিন্তু বাসের হেলপার যাত্রীদের মধ্যে মিশে যাওয়ায় তা নিশ্চিত করা যায়নি।

গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত স্বর্ণের বার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

news24bd.tv/কেআই