ভারত-দুবাইয়ে ঠাঁই হয়নি, মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে ধরা তিনি

ভারত-দুবাইয়ে ঠাঁই হয়নি, মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে ধরা তিনি

বগুড়া প্রতিনিধি

২০১১ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে যৌতুকের দাবিতে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী জিয়াউর রহমান জিয়া। এ ঘটনায় জিয়ার শ্বশুর লতিফুল বারী তবলু বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় ৩ বছর ৪ মাস জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ভারতে গিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে রেশন, আধারকার্ড, আইকার্ড ও অন্যান্য ভারতীয় নাগরিকের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকে। ৮ মাস পর ভারতীয় তামিল ভাষা বোধগম্য না হওয়ায় সে দুবাইয়ের পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করে দুবাই চলে যায়।

দুবাই থেকে ৬ মাস পর বাংলাদেশে ফিরে এসে গাজীপুর সূত্রাপুর এলাকায় আবারো বিয়ে করে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে সংসার করতে থাকে। গ্রেপ্তার এড়াতে সবার অজান্তে গাজীপুর সূত্রাপুর থানা এলাকায় কসমেটিকস্ ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টসে ছদ্মবেশে চাকরি করতো।

সর্বশেষ সবার অজান্তে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাসপোর্ট প্রস্তত করে এবং রবিবারই মালয়েশিয়া যাওয়ার বিমানের ফ্লাইট ছিল তার। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগ মুহূর্তে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হলো ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭)।

শনিবার রাত ১টার দিকে র‌্যাব—১২ বগুড়া ও র‌্যাব—১ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈরের মির্জাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব—১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আসামি জিয়ার মৃত্যুদণ্ড সাজার আদেশ দেয় আদালত। জিয়া বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার  শোলাগাড়ি এলাকার তোজাম্মেল হকের ছেলে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার জিয়া মামলার সাজা হতে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। গ্রেপ্তার আসামি জিয়াকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক