হিজবুল্লাহর হামলা থেকে বাঁচাতে ইসরায়েলের উত্তরে লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে আরো বহু বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে।
পার্সটুডে জানায়, ইসরায়েল সরকার গতকাল (রোববার) বলেছে, তারা লেবানন সীমান্তবর্তী আরো ১৪টি গ্রাম খালি করার কাজ শুরু করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে লেবানন সীমান্তবর্তী ২৮টি গ্রামের সব মানুষকে দক্ষিণের দিকে সরিয়ে নেয় তেল আবিব।
আল-জাজিরার এক খবরে জানানো হয়েছে, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই তীব্রতর হলে এসব গ্রামের ইহুদিবাদীরা ব্যাপক সংখ্যায় মারা পড়তে পারে বলে তাদেরকে আগেভাগে সরিয়ে নিচ্ছে তেল আবিব।
লেবানন সীমান্তে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর হামলায় পাঁচ সৈন্যসহ ছয় ইসরাইলি নিহত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস গাজা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ‘আল-আকসা তুফান’ নামক যে অভিযান শুরু করে তার প্রতি সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ছোটখাট হামলা চালাচ্ছে।
এ সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় লেবাননের ৪০ ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে হিজবুল্লাহ ও লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে। ২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের পর এই প্রথম ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এত বড় রক্তক্ষয়ী সংঘাত হলো।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গতকাল (রোববার) লেবানন সীমান্তে মোতায়েন ইসরায়েলি সেনাদের পরিদর্শনে গিয়ে তেল আবিবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারে হিজবুল্লাহকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এত শক্ত আঘাত হানবে যে, তা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। ”
অন্যদিকে হিজবুল্লাহও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা বন্ধ না করলে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে হামলা আরো শক্তিশালী করা হবে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪ হাজর ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের আল-আকসা তুফান অভিযানে ৩৫০ ইসরাইলি সেনাসহ ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
news24bd.tv/তৌহিদ