নৃত্যের মাধ্যমে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা ও গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬ দিনব্যাপী চলা গণজাগরণের নৃত্য উৎসবের দ্বিতীয় দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর শৈল্পিক পরিবেশনা।
দ্বিতীয় দিনে আয়োজনের শুরুতেই ‘সত্যের জয় হোক’ শিরোনামে নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে নৃত্যদল নৃত্যসুর। নৃত্য পরিচালনা করেন সেলিনা হক।
এরপর পরিবেশিত হয় খণ্ডনৃত্য ‘মধুর ধ্বনি বাজে’। পরিবেশন করে নৃত্যছন্দ দল, পরিচালনায় ছিলেন বেনজির সালাম সুমি। এরপরে নৃত্যালেখ্য ‘জন্ম আমার ধন্য হলো’ পরিবেশন করে সৃষ্টি একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস (নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র), নৃত্য পরিচালনা করেন ড. সুবর্ণা আফরিন খান। নৃত্যালেখ্য ‘ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২’ পরিবেশন করে ধ্রুপদী নৃত্যলয় নৃত্যদল, পরিচালনা করেন স্নাতা শাহরিন।খন্ডনৃত্য ‘চলো বাংলাদেশ’ পরিবেশন করে অ্যালিফিয়া স্কোয়াড। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মো. মোফাসসাল হোসেন। এরপর নৃত্যালেখ্য ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার’ পরিবেশন করে নাচঘর, নৃত্য পরিচালনা করেন আইরীন পারভীন। নৃত্যালেখ্য ‘অবহেলার মৃত্যু এবং বীরপুরুষ’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যদল। সবশেষে নৃত্যালেখ্য ‘শেখ রাসেল, লাল সবুজের রাজপুত্তুর’ পরিবেশন করে ঘুঙ্গুর নৃত্যালাপ। নৃত্য পরিচালনা করেন মো. নাজিব মাহফুজ লিমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছিলেন মো. আলমগীর।
শুদ্ধভাবে নৃত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জেলা, বিভাগ পর্যায় ছাড়াও দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অংশগ্রহণ করছে অর্ধশতাধিক নৃত্যদল। শিল্পের মাধ্যমে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে সংস্কৃতির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে গনজাগরণের মধ্য দিয়ে নৃত্যদলগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এ আয়োজন।
ছয়দিনব্যাপী জমজমাট এ আয়োজনে প্রতিদিনই থাকবে কমপক্ষে ৮-৯ টি নৃত্যদলের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। দেশের ৬৭ টি নৃত্য দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হবে আরো চারটি নৃত্যদল। জাঁকজমকর্পূণ এ নৃত্য উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ছিল ৯টি নৃত্য দলের পরিবেশনা।
ফিলিস্তিনের গাজায় শিশু হত্যার প্রতিবাদে নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। প্রতিদিনকার এ নৃত্য উৎসব আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে। নৃত্য উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।
news24bd.tv/SHS