কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১

সংগৃহীত ছবি

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া:

পদ্মা নদীতে সাংবাদিকদের ডুবিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ। সোমবার দুপুরে কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রাম থেকে রুহুল আমিন (৩৮) কে গ্রেপ্তার করে তারা। তিনি ওই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ৬ টেলিভিশন সাংবাদিকের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

 

সাংবাদিকদের নৌকায় ছিলেন, নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির জাহিদুজ্জামান, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের শরীফ বিশ্বাস, বাংলাভিশনের হাসান আলী, এনটিভির সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী ও ক্যামেরাপারসন আসিফুজ্জামান সারফু ও এসআই সুমন। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের নৌকাকে স্পিডবোট দিয়ে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।  

সে সময় তারা সাংবাদিকদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ছিনিয়ে নেয় ভিডিও ধারণ করা একটি ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোন।

এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভির সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌ-পুলিশের এসআই জামাল বলেন, যে স্পিড-বোটে করে সাংবাদিকদের বোটে হামলা হয়েছিল সেই বোটের শেষের দিকে ছিলেন রুহুল আমিন। মামলায় উল্লেখ না থাকলেও তদন্তের মাধ্যমে তার নাম জানতে পারে পুলিশ।  

তিনি বলেন, সদর আমলী আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে রুহুল আমিনকে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

হামলার পরদিন শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার ৫ রাস্তার মোড় মুজিব চত্বরে কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আয়োজনে মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। সেই সময়ের একদিন আগেই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

news24bd.tv/কেআই