পটুয়াখালীতে ৭০৩ সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৫ মুজিব কিল্লা প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় হামুন

পটুয়াখালীতে ৭০৩ সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৫ মুজিব কিল্লা প্রস্তুত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানার আশঙ্কায় পটুয়াখালীতে দুর্যোগ প্রস্তুতি মূলক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম।

পটুয়াখালীতে ৭০৩ টি আশ্রয়ন কেন্দ্র আর ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে।

খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

আবহাওয়ার বুলেটিনে পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও পটুয়াখালীর উপকূলে হামুন এর প্রভাব নেই তেমন। ভোর রাত থেকে গুড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমে আসছে। উপকূলের আকাশ মেঘলা রয়েছে।

মৃদু বাতাস বইছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মানুষ ও প্রায় ১ লাখ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে।
সিপিপি সদস্য আছে ৪৩৫ টি ইউনিটের ২০ জন‌ করে ৮ হাজার ৭০০ জন, জেলায় রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার রয়েছে ২ শতাধিক।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১০২টি, দুমকী ২৭টি, মির্জাগঞ্জ ৪৩টি, বাউফল ১৪০টি, দশমিনা ৬৩টি, গলাচিপা ১১৮টি, কলাপাড়া ১৫৬টি, এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫৪ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

মুজিব কিল্লা আছে কলাপাড়ায় ১৯টি, রাঙ্গাবালী ৯টি, দশমিনায় ৪টি ও গলাচিপায় ৩টি । জেলার সিপিপি সদস্য রয়েছে দশমিনায় ১ হাজার ৫৬০ জন, গলাচিপা ২ হাজার ৭০০ জন, কলাপাড়ায় ৩ হাজার ১৬০ জন, রাঙ্গাবালী ১ হাজার ২৮০ জন। এছাড়াও জি আর নগদ অর্থ ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, জি আর চাল মজুদ রয়েছে ৬০০ মে টন।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে সকাল গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথায়ও কোনো ঝড়ো বাতাস বইছে না। ভোর রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি কমে আসছে।

তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত শীত অনূভুত হওয়ার লক্ষ্য করা গেছে মানুষে মধ্যে। তবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন এর খবরে আতঙ্কিত উপকূলবাসী।

news24bd.tv/তৌহিদ