ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ উপকূলে, সাগরে জলোচ্ছ্বাস

সংগৃহীত ছবি

ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ উপকূলে, সাগরে জলোচ্ছ্বাস

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আঘাত হানা শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে উপকূলের কয়েকটি জেলায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করার কথা।  

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।  

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার সময় আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ সন্ধ্যার সময় উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আঘাত হানা শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ভাগ রাত ৯টার সময় অতিক্রম শুরু করতে পারে। ’ 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি. মি. , যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।  

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।  

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।  

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

news24bd.tv/A