অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন ধেয়ে আসায় বাগেরহাটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার চর ও নিম্নাঞ্চলসহ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে রেডক্রিসেন্টের সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংক করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৪৪৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। সুন্দরবনে থাকা দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের লোকালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে দুর্বল অবকাঠামো থাকায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কোকিরমুনি, শ্যালারচর, দুবলা ও কচিখালী ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের পার্শ্ববর্তী বন অফিসে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙ্গর করতে বলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহম্মদ খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে অতিপ্রবল ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় জেলার ৪৪৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন প্রস্তত রাখতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেডক্রিসেন্টের সিপিপিসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নূরুল করিম জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন ধেয়ে আসায় সুন্দরবনে থাকা দেশি-বিদেশি সব পর্যটকসহ বনজীবীদের মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে লোকালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দুর্বল অবকাঠামো থাকায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কোকিরমুনি, শ্যালারচর, দুবলা ও কচিখালী ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের পার্শ্ববর্তী বন অফিসে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তত রয়েছে। মোংলা বন্দরে ৫ নম্বর সংকেত থাকায় বন্দরের কাজকাম স্বাভাবিক রয়েছে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সংকেত বাড়লে বন্দরের নিজস্ব এলার্ড জারি করে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, বাগেরহাটের উপকূলীয় চার উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলায় কয়েটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বাঁধের এসব ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
news24bd.tv/তৌহিদ