নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাইকিং

সংগৃহীত ছবি

নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাইকিং

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সোমবার দিবাগত রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্য সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপসহ সীমান্তের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার বিকেল ৩টার মধ্যে দ্বীপ ত্যাগ করতে উপজেলা প্রশাসন নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করেছিল। তবুও প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকসহ স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় থাকতে দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া আমরা এর আগেও বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করেছি। এবারও আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমাদের এখানে ১০ হাজারের মতো লোক রয়েছেন। তাদের সবাইকে নিরাপদে রাখার মতো অবস্থা আছে।

news24bd.tv/কেআই