মোহনবাগানের মাঠে পয়েন্ট পেল বসুন্ধরা কিংস

সংগৃহীত ছবি

মোহনবাগানের মাঠে পয়েন্ট পেল বসুন্ধরা কিংস

অনলাইন ডেস্ক

এএফসি কাপে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংস ভারতীয় ক্লাব মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করেছে। ভারতের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক মোহনবাগানকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। দুইবার ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ ড্র করেছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।

এএফসি কাপের তিন ম্যাচ শেষে মোহনবাগান ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব বসুন্ধরা কিংস চার পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। মালদ্বীপের মাজিয়া এবং ভারতের আরেক ক্লাব ওড়িষা এফসির পয়েন্ট সমান তিন করে। তিন দলই আরও তিনটি ম্যাচ খেলবে। ছয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবে।
বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস দুই দফায় মূলপর্বে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।  

বসুন্ধরা কিংস মোহনবাগানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে। ভিসা বিড়ম্বনা, ফ্লাইট সংকট, ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন না করা-সহ আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা ঠেলে বসুন্ধরা কিংস মোহনবাগানের বিপক্ষে এক পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে। এই পয়েন্ট মোহনবাগানের বিপক্ষে কিংসের একটি ‘নীরব’ জবাবও!

ভ্রমণক্লান্তি ও মানসিক পীড়ার মধ্যে থাকলেও বসুন্ধরা কিংস ৯০ মিনিট ভালো ফুটবলই খেলেছে। ম্যাচে দু’বার পিছিয়ে পড়েও দু’বারই ম্যাচে সমতা এনেছে তারা। কিংস ম্যাচটি জিততেও পারত। দু’টি শট ক্রসবার বাধা না হয়ে দাঁড়ালে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফিরতে পারত কিংস।

২০ মিনিটে দিমিত্রিয়োও পেত্রাতোসের ক্রসে লিস্টন কোলাসো টোকায় জাল খুঁজে নিলেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। ২৮ মিনিটে কিংসের প্রতিরোধের দেয়ালে চিড় ধরে। ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে ওঠা হুগো বোমোস অনেকটা এগিয়ে বক্সে বল বাড়ান। তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কাট ব্যাক করেন জ্যাসন কামিন্স; নিখুঁত শটে বাকি কাজ সারেন দিমিত্রি পেট্রাটস। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা ৩৩ মিনিটে সমতা আনে। ব্রাজিলিয়ান রবিনহোর থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা হেক্টর ক্যান্টেনের প্রতিরোধ ভেঙে দারুণ শটে সমতা ফেরান দোরিয়েলতন।

দুই মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত কিংস। বক্সের একটু বাইরে থেকে রবিনহো জায়গা করে নিয়ে জোরালো শট নেন। বাঁক খেয়ে লাফিয়ে ওঠা বল মোহন বাগান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।

বিরতির পর কালো জার্সির বদলে লাল জার্সি পরে মাঠে নামে বসুন্ধরা কিংস। এতে যেন আরও জ্বলে উঠে তারা! ৪৮ মিনিটে মিগেলের থ্রু পাস থেকে দোরিয়েল্তন বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে একা পেয়ে কোনাকুনি শটটি পোস্টে মেরে বসেন, নষ্ট হয় সুযোগও।

৫৪ মিনিটে মোহনবাগান আবারও এগিয়ে যায়। দিমিত্রিয়ো পেত্রাতোসের পাসে আশিষ রায় ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে বল পেয়ে গোলকিপারের ওপর দিয়ে সহজেই জাল কাঁপান।

মোহনবাগানের গোলদাতা আবারও কিংসের গোলের উপলক্ষ্য এনে দেন। ৬৯ মিনিটে রবিনহোকে ফেলে দেন আশিষ রায়। তখনই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি দেন। স্পট কিক থেকে জোরালো শটে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান রবিনহো নিজেই।   ম্যাচের শেষ মুহুর্তে ডাগ আউটে উত্তপ্ততা ছড়িয়েছে। হলুদ কার্ড দেখেছেন মোহনবাগানের কোচ।

আগামী ৭ নভেম্বর ঢাকার কিংস অ্যারেনায় মোহানবাগানের বিপক্ষে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস।

news24bd.tv/A