বিজয়া দশমীতে বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের তথ্য দিলেন জয়

সংগৃহীত ছবি

বিজয়া দশমীতে বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের তথ্য দিলেন জয়

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি ও জামায়াতের শাসনামলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব উদযাপন করতে না পারলেও আওয়ামী লীগের আমলে তা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন জয়। ওই ভিডিওতে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে পূজার সময় হিন্দুদের প্রতি নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

 ভিডিওর ক্যাপশনে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, শুভ বিজয়া সবাইকে! এবারের দুর্গাপূজা সারাদেশে উৎসবের সঙ্গে পালিত হয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সমর্থন করে এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, বিএনপি-জামায়াতের শেষ শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক হামলা নজিরবিহীন মোড় নেয়, যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।

জয় জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার হয়েছে। সকল ধর্মের মানুষের সম্প্রীতি নিশ্চিত করা এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করা আমাদের অঙ্গীকার। এটাই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।

ভিডিওতে উঠে আসে, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরপরই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুট, ‍হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মন্দিরে হামলার মতো ঘটনা ঘটে।

কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভিডিওতে বলা হয়, ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর ভোলায় বিএনপি ও জামায়াত সন্ত্রাসীদের হাতে প্রায় ২০০ হিন্দু নারী হামলার শিকার হন। বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ৪ বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধও।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় বিএনপি নেতাদের সরাসরি সমর্থন ছিল। ওই সময় কিছু হিন্দু তরুণীকে অপহরণও করা হয়। এমন নৃশংস হামলার কারণে শত শত হিন্দু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে চলে যায়।

২০০৩ সালের ৫ মার্চ নীলফামারীতে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা হিন্দুদের পূজা দিতে নিষেধ করে। আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্যই তাদের একমাত্র দোষ। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা একটি মন্দির ঘেরাও করে রাখে, যাতে কেউ পূজা পালন করতে না পারে। এছাড়া বগুড়া ও সীতাকুণ্ডে হিন্দুদের ওপর হামলার তথ্য তুলে ধরা হয় ভিডিওতে।

ভিডিওতে বিএনপি-জামায়াতের এমন সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৭১ সালের নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বিএনপি-জামায়াতের এসব সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সেই সময় অনশন কর্মসূচিও পালন করেছিলেন।

এই রকম আরও টপিক