নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৮৮ জেলে আটক

প্রতীকী ছবি

নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৮৮ জেলে আটক

অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স। এর মধ্যে নৌ পুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স পাঁচজন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১জনকে আটক করেছে।

শুক্রবার সকালে নৌ পুলিশ চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি কামরুজ্জামান অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌ পুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭২জন জেলেকে আটক করেছে।

আটককৃতদের মধ্যে ১৭জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। এসব অভিযানে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।  

অভিযানে জব্দকৃত ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরীবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি নৌকা নৌ-পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর সদর এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আটক পাঁচ জেলের মধ্যে তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৮ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার এবং দুইজন অপ্রাপ্ত বযস্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে পরিবারের জিন্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

জব্দকৃত ১০হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ৩ কেজি ইলিশ স্থানীয়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।
 
অপরদিকে, হাইমচর উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাইমচরে ১১ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী। বাকি ছয় জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়।  

জব্দকৃত ৪৭ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ৫০ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া  মাছ ধরার একটি নৌকা উপজেলা টাস্কফোর্স হেফাজতে রয়েছে। অভিযানে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সহযোগিতা করেন।

news24bd.tv/কেআই