কর্ণফুলীর দুই পাড়ে আনন্দের জোয়ার

সংগৃহীত ছবি

কর্ণফুলীর দুই পাড়ে আনন্দের জোয়ার

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আর আনোয়ারা মধ্যে দূরত্ব বেশি নয়, কিন্তু এক কর্ণফুলী নদী তাদের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব সৃষ্টি করে রেখেছিল। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীটির তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে। আজ এই টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল রোববার থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

   

টানেলের উদ্বোধন ঘিরে পতেঙ্গা ও আনোয়ারাবাসীর মধ্যে খুশির আমেজ বইছে। টানেল নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকেই নদীর দুই প্রান্তে জায়গাজমির দাম বহু গুণে বেড়ে গেছে। যোগাযোগব্যবস্থার এই নতুন পালক যোগ হওয়ায় আনোয়ারায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে শিল্প-কারখানায় কর্মসংস্থান হবে।

পতেঙ্গায় সমুদ্রসৈকতের পাশে টানেল দেখতে আসা আবদুল গফুর নামের এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পতেঙ্গায় এখন কোনো খালি জায়গা নেই। গত কয়েক বছরে জায়গার দাম অনেক বেড়ে গেছে। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। টানেল উদ্বোধন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম যেতে কম সময় লাগবে। এতে আমরা খুশি। ’

জসিম উদ্দিন নামের এক যুবক বলেন, ‘এই টানেল আমাদের জন্য খুব উপকারে আসবে। আমাদের এখানে এখন কেউ জায়গাজমি বিক্রি করতে চাচ্ছে না। সামনে কলকারখানা হলে দাম বেশি পাবে এই আশায়। আমরা আগে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু দিয়ে যাতায়াত করতাম। এখন টানেল হওয়ায় সহজে কম সময়ে শহরে যেতে পারবো। ’

নগরের শাহ আমানত বিমানবন্দর সড়কের পাশের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, ‘বিমানবন্দরের আশপাশে আগে অনেক পরিত্যক্ত জায়গা ও ঝোপঝাড় পড়ে ছিল। নগরের চেয়ে সুযোগ-সুবিধায় অনেক পিছিয়ে পড়া ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড টানেলের কারণে অনেক লাভবান হবে। টানেল উদ্বোধন হবে, এটা ভেবে সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম নয়, কক্সবাজার, বান্দরবানসহ এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।  

news24bd.tv/আইএএম