বঙ্গবন্ধু টানেলের গর্বিত অংশীদার বসুন্ধরা বিটুমিন 

বঙ্গবন্ধু টানেলের গর্বিত অংশীদার বসুন্ধরা বিটুমিন 

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চালু হলো কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। এই টানেল নির্মাণে গর্বিত অংশীদার দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

বঙ্গবন্ধু টানেলের সড়ক নির্মাণে বসুন্ধরার উৎপাদিত পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন (পিএমবি) ও পেনিট্রেশন গ্রেড বিটুমিন ব্যবহৃত হয়েছে। আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল রোববার থেকে টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অর্থনীতি বেগবান হওয়ার পাশাপাশি দেশের যোগাযোগ কাঠামোয় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সাধারণত নিম্ন ও উচ্চ তাপমাত্রায় বিটুমিনের সংবেদনশীলতা কমে যাওয়ায় ১৯৮০ সাল থেকে পলিমার মডিফায়েড বিটুমিনের ব্যবহার হয়ে আসছে। ‘স্টাইরিন বুটাডিন স্টাইরিন’ (এসবিএস) নামক একটি বিশেষ ধরনের পলিমার বেইস বিটুমিনের সঙ্গে মিশিয়ে পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন তৈরি করা হয়।

এই বিটুমিন আর্দ্রতা সংবেদনশীল, নিম্ন তাপমাত্রায় নমনীয় এবং উচ্চ তাপমাত্রায় শক্ত থাকে। এটি মহাসড়কের উপরিভাগকে সব ধরনের আবহাওয়াজনিত ক্ষতি, ফাটল বা খানাখন্দ তৈরি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনসহ বিভিন্ন মহাসড়কে বহুল ব্যবহৃত ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে সওজকে। তাই সওজ এখন তাদের বড় প্রকল্পগুলোতে পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন ব্যবহার করছে। এদিকে এই বিটুমিনের চাহিদা বাড়ায় আমদানি নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্বমানের পলিমার মডিফায়েড বিটুমিন উৎপাদন শুরু করেছে বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিউবসহ কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টিউবের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। টানেলের সঙ্গে পতেঙ্গা প্রান্তে ০.৫৫ কিলোমিটার এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে।

এছাড়া আনোয়ারা প্রান্তের সংযোগ সড়কের সঙ্গে ৭২৭ মিটার উড়াল সেতুও নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিটুমিনের শতভাগই বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সচিব ও নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা উন্নয়নের এক বৈপ্লবিক মুহূর্ত দেখব। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পেরে বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড নিজেকে গর্বিত মনে করছে। ’