রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসমাবেশ চলাকালে নিহত যুবক শামীম মিয়া যুবদল কর্মী নয় বলে জনিয়েছেন তার পিতা ইউসুফ মিয়া। যুবক শামীম মিয়া একজন ডাক্তারের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে তিনি জানান।
নিহত যুবকের পিতা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের আক্রমণ চলাকালে শামীম পুলিশ হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় নিহত শামীম স্ট্রোক করে রাস্তায় পড়ে যায়।
এ বিষয়ে পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার জানান, নিহত যুবকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চায় বিএনপি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করে। রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি নিয়েও নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে আসা দলটির নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়েছে, লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে, ককটেল ও গুলতি মেরেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। শতাধিক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা দেয়াল টপকিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করে এবং সেখানেও তাণ্ডব চালায়। কাকরাইল পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ও পুলিশের ব্যবহৃত যানবাহন ভাঙচুর করে। এছাড়া কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়াও বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ২৬টি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। পুলিশের ছোট-বড় স্থাপনায় আগুন দিয়েছে। গতকাল বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় শতাধিক গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
news24bd.tv/আইএএম