ঝিনাইদহে সরকারি ভবন দখল করে নির্মাণসামগ্রী মজুদের অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহে সরকারি ভবন দখল করে নির্মাণসামগ্রী মজুদের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সরকারি ভবন দখল করে নির্মাণসামগ্রী মজুদের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অফিস চত্বর ও স্টোর ভবনে প্রায় পাঁচ হাজার সেফটি পাথর ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্টোর ভবনের পুরো দুই তলা জুড়ে ঘরের আসবাবপত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত জানালা, দরজা, খাটসহ প্রায় কোটি টাকার কাঠ মজুদ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৫নং ওয়ার্ডের উপ-শহর পাড়া এলাকায় এক প্রকৌশলীর সাড়ে ১২ শতাংশ জমির উপর চার ইউনিটের বিলাসবহুল বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে।

এঘটনায় সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মীর আল-আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস চত্বর ও স্টোর ভবনে তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার্য্য নির্মাণসামগ্রী ও আসবাবপত্র তৈরির বিভিন্ন মালামাল মজুদ রেখেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না, আপনারা নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে পারবেন। ' 

সরকারি ভবন দখল করে মালামালসহ সরকারি বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কীভাবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তিনি বলেন, 'আমার দশ তলা ভবনের কাজ চলছে।

কিছু দিন হলো সেখানে মালামাল রেখেছি। মালামাল অতিসত্বর সরিয়ে নেওয়া হবে। '

কিন্তু সরকারি ভবন দখল, অফিস চত্তরে মালামাল রাখা এবং সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

স্থানীয় জনগণের মনে প্রশ্নে উঠেছে প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম কীভাবে কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল দশতলা ভবন নির্মাণ করছেন এবং তার এতো সম্পদের উৎসই বা কী?

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (খুলনা সার্কেল) বাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, সরকারি ভবন দখল করে ব্যক্তিগত মালামাল মজুদের কোনো সুযোগ নেই। তিনি চমকিত হয়ে বলেন, 'কত তলা ভবন নির্মাণ করছেন? দশতলা! এটা কোথায় ঝিনাইদহে? আমরা একতলা ভবন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি আর সে দশতলা ভবন করছে?'

news24bd.tv/SHS