লালমনিরহাটে হরতালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু, আটক ৫

লালমনিরহাটে হরতালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু, আটক ৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে হরতাল চলাকালে বিএনপি- আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহজনক পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু হয়। একই দিন সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর রেলগেটে হরতাল চলাকালে বিএনপি- আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে তিনি আহত হন।

মৃত জাহাঙ্গীর আলম লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মহেন্দ্রনগর রেলগেট এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করলে অপর দিক থেকে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে এতে আওয়ামী লীগের তিন নেতা আহত হন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কয়েক রাউন্ড ছুড়ে হরতাল সমর্থক বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে দেন।

পরে আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। আহত শ্রমিক রাজু ও বাবলুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে লালমনিরহাটের চার উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। হাতীবান্ধা উপজেলায় ৩ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২ জন,আদিতমারী উপজেলার ৪জন ও সদর উপজেলায় ৫জনকে গ্রেপ্তার করেন।

 নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জানাজা আজ দুপুর ২ টায় সম্পূর্ণ হয়। পরে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকায় বেড়পাংগা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, হরতালের সংঘর্ষের ঘটনায় ছন্দ বোজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

news24bd.tv/তৌহিদ