নাইকো মামলায় আদালতে যে সাক্ষ্য দিলেন কানাডার দুই পুলিশ

সংগৃহীত ছবি

নাইকো মামলায় আদালতে যে সাক্ষ্য দিলেন কানাডার দুই পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিনটি গ্যাসফিল্ডের কাজ পেতে কাশেম শরীফ, সেলিম ভুঁইয়া, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ কয়েকজনের মধ্যে অর্থের লেনদেন হয়েছে। যার সুবিধাভোগী তারেক রহমানও।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) আদালতে এ সাক্ষ্য দিয়েছেন কানাডার দুই পুলিশ কর্মকর্তা কেবিন ডুগান ও লয়েড শোয়েপ। তাদের মধ্যে একজনকে জেরাও করা হয়েছে।

জেরা শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, সস্তা পাবলিসিটির জন্যই তাদের সাক্ষ্য দিতে দেশে এনেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, প্রয়োজনীয় সব নথি আদালতে জমা দিয়েছেন বিদেশি এই সাক্ষীরা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কানাডিয়ান আরেক পুলিশ কর্মকর্তা কেভিড ডুগানকে জেরা করবেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ সাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল বিদেশি সাক্ষী আসার কথা।

অবশেষে সোমবার সকাল ১১টায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আসেন কানাডিয়ান রয়েল পুলিশের দুই সদস্য কেভিড ডুগান ও লয়েড শোয়েপ। সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, নিজেদের পরিচয় দেয়ার পর কানাডা পুলিশে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও নাইকো মামলায় তদন্ত করার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তারা। জবানবন্দিতে বলেন, নাইকো একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। তিনটি গ্যাসফিল্ডের কাজ পেতে কাশেম শরীফ, সেলিম ভুঁইয়া, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ কয়েকজনের মধ্যে অর্থের লেনদেন হয়। যার সুবিধাভোগী তারেক রহমানও।

এদিকে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কানাডার এক পুলিশকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। নিজেদের সাক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে সম্পৃক্ত না করায় রয়েল পুলিশকে ধন্যবাদ জানান বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তবে, অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, দায় রয়েছে খালেদা জিয়ারও।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম এসময় কানাডা পুলিশকে বাংলাদেশ আনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। যার কড়া জবাব দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

কানাডিয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৭৭৭কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে ২০০৭ সালে বেগম জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। এই মামলায় খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের এক সদস্য সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় আসবেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

news24bd.tv/FA