পাকিস্তানকে ২০৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে ২০৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের বোলিং তোপে বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে ২০৪ রানে অল আউট হলো বাংলাদেশ। বল বাকি ছিল আর ২৯ টি।  জয়ের জন্য ৩০০ বলে ২০৫ রান করতে হবে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানকে। সেমিফাইনালের আশা টিকে রাখতে হলে আজ এবং পরের দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে তোপের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো দলের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম স্পেল। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমকে আউট করেন আফ্রিদি। ৫ বলে শূন্য রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি।

রিভিউ নিলেও আম্পায়ারস কলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।  

এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার বোলিংয়ে এসে এবার নাজমুল হোসেন শান্তকে আউট করেন আফ্রিদি। একটি চার মেরে আত্মবিশ্বাসের আভাস দিলেও ৩ বলে ৪ রান করে ফরওয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো উসামা মিরের হাতে ক্যাচ দেন। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম হারিস রউফের শিকার হলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে।  

২৩ রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরবারের মতো দারুণ কিছু শট খেলেন লিটন, তাতে আশা বাড়ে বাংলাদেশের। তাদের জুটিও ছিল দারুণভাবে। কিন্তু ৬ চারে ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতেখার আহমেদের বলে শট খেলতে গিয়েও ব্যাটের ফেস অফ করে দেন, এরপর মাথায় লেগে ক্যাচ যায় আগা সালমানের হাতে।

৬৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হওয়ার পর প্রায় আধামিনিট একইরকমভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বিশ্বাসেই করতে পারছিলেন না লিটন, ছাড়তে চাইছিলেন না মাঠও। ৮৯ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটিরও অবসান ঘটে তাতে। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান।  

শুরুতে কিছুতেই রান তুলতে পারছিলেন না তিনি। বহু চেষ্টার পরও দেখা মিলছিল না সিঙ্গেলসের। ওই চাপ কিছুটা পড়ে মাহমুদউল্লাহর ওপরও। তার স্ট্রাইক রেট কমে যায়, পরে হন আউট। আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।  

সাকিব এরপর ব্যাটিংয়ে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পান। ৫৩ বলে ২৬ রান করার পর ৩৭তম ওভারে ইফতেখার আহমেদকে টানা তিন বলে বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু ওই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হারিস রউফের বলে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ চারে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হন তিনি।  

মাঝে বাদ পড়া তাওহীদ হৃদয় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তিন বলের মধ্যে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন। উসামা মীরকে ছক্কা মারার পরের বলে আবারও তুলে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। আট নম্বরে নামা মিরাজ ৩০ বলে ২৫ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

এই রকম আরও টপিক