নয়াপল্টনে তরিকুল ইসলামের প্রথম জানাজা, যশোরে দাফন

বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম

নয়াপল্টনে তরিকুল ইসলামের প্রথম জানাজা, যশোরে দাফন

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের মরদেহ আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে। সেখানে তাকে দলের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে তরিকুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা সোয়া ১১টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় সংসদ ভবনে।

দক্ষিণ প্লাজায় হবে দ্বিতীয় জানাজা। পরে মরদেহ হেলিকপ্টারে নেওয়া হবে জন্মস্থান যশোরে। যশোর ঈদগা মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে সোমবার সকাল থেকেই তরিকুল ইসলামকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ও জানাজায় অংশ নিতে নয়াপল্টনের দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে দেখা গেছে।
দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।

রোববার সন্ধ্যা ৭টায় তরিকুলের মরদেহ হাসপাতাল থেকে তার শান্তিনগরের বাসায় নেওয়া হয়। তাকে শেষবারের মতো দেখতে ছুটে আসেন দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে সৃষ্টি হয় শোকাবহ পরিবেশের। এর পর রাতে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

যশোর সদর থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য তরিকুল ইসলাম চার-দলীয় জোট সরকারের তথ্য এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি প্রথমে সমাজকল্যাণ এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। যশোর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন তরিকুল ইসলাম।

তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মো. ইসহাক ও মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম শোক জানিয়েছেন।

এ ছাড়া শোক জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

তরিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে। বাবা আবদুল আজিজ ব্যবসায়ী ছিলেন। যশোর জিলা স্কুল থেকে ১৯৬১ সালে তিনি প্রবেশিকা (ম্যাট্রিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে আইএ এবং ১৯৬৮-তে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। শুক সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টা ও যশোর ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ছিলেন। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে আধুনিকীকরণে তরিকুল ইসলামের বিশেষ অবদান রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর