ইরানের ওপর আজ থেকে ফের কঠোর অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ, ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করলে বন্ধ হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের দরজা। দেশটির তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই নিষেধাজ্ঞা। তেল রপ্তানির ওপর প্রচন্ডভাবে নির্ভরশীল ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা বহাল হলে দেশটির অর্থনীতিতে তা মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এ অবরোধকে পাত্তা দিতে নারাজ। তিনি বলেছেন, "এর আগেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে ইরান। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন এই ষড়যন্ত্র করে যুক্তরাষ্ট্র কোনও সাফল্য অর্জন করতে পারবে না। ''
পরমানু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরানের সাথে ২০১৫ সালে এক বহুপাক্ষিক চুক্তি হয়।
এই ঘোষণা অন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইরান থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার ঘটনা বাড়িয়ে দিতে পারে। এরইমধ্যে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি কমে গেছে।
এদিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সাথে বাণিজ্য-রত কোম্পানিগুলোকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এই অবরোধ এড়ানোর উপায় হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে - যাতে ইরানের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যায়, আবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞারও শিকার হতে না হয়। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের মতো স্পেশাল পারপোজ ভিহাইকেল বা এসপিভি-র মাধ্যমে ইরান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সম্পাদন করা যাবে সরাসরি লেনদেন এড়িয়ে।
যখন ইরান ইউরোপীয় কোন দেশে তেল রপ্তানি করবে, যে দেশ তা নেবে সেই দেশের কোম্পানি এসপিভির মাধ্যমে দাম পরিশোধ করবে। ইরান তারপর সেই অর্থ ক্রেডিট হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে এসপিভির মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারবে। ইইউ'র এই পরিকল্পনা কার্যকর হলেও ইরান-সম্পর্কিত ব্যবসা বাণিজ্যের খরচ অনেক কোম্পানির জন্যই খুব চড়া হবে।