দ্বিতীয় দফায় রোববার থেকে আবারও দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে এই কর্মসূচিকে আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি অবরোধ দিলে দিক। তারা (বিএনপি) ক্লান্ত (টায়ার্ড) হয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপির নেতা) হয় জেলে, না হয় পালিয়ে থাকবে। বসে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখবে। বিএনপির ভাড়া করা কিছু লোক আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির প্রধান দুশমন বিএনপি। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিরাপদ রাখতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। আবারও বাস ভাঙচুর, পোড়ানোর জন্য অবরোধ দিয়েছে বিএনপি। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর ২৪ জন সাংবাদিক নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন, পুলিশের এক সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, পার্কিং করা গাড়িতে ঘুমন্ত হেলপারসহ কীভাবে পুড়িয়েছে—এসব অপকর্মে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা কি দমনমূলক? যারা এসব করেছে, তারা এর দায় এড়াতে পারবে? বিচার হবে না? অপরাধ করলে অপরাধীদের বিচার হতেই হবে। ’
এদিকে বনানী কবরস্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা জনসম্পদের ওপর হামলা করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে, কিন্তু কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।
তবে আজ সকালে এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে নেতৃত্বকে দুর্বল কিংবা সরকার পতনের আন্দোলনকে দমানো যাবে না। সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বিএনপি দেশের বৃহৎ এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এই দলটির সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই আন্দোলন দমানোর জন্য আপনাদের (সরকার) কোনো কৌশলই সফল হবে না। ’
news24bd.tv/আইএএম