রিমান্ড শুনানিতে আদালতে যা বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান

সংগৃহীত ছবি

রিমান্ড শুনানিতে আদালতে যা বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আজ দুদুকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

তাঁর পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

বেলা ৩টায় শুনানির সময় দুদুকে আদালতের হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওমর ফারুক, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ শুনানি করেন।

 

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের রমনা মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এর আগে গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বোনের বাসা থেকে দুদুকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর বোনের ছেলে আশরাফকেও আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেলা ১টার সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান।  

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।  

আইনজীবীদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে শামসুজ্জামান দুদু নিজেই বক্তব্য দেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণের ঘটনা দুঃখজনক। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা কে ঘটাল, কারা ঘটাল—তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। সত্য বের করা উচিত। ’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেছেন আমি নাকি হামলাকারীদের উসকানি দিয়েছি। অথচ বিএনপির মহাসমাবেশে ওই দিন আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। আমার বাবা একজন আইনজীবী ছিলেন। বাবাসহ আমার পরিবারে ৯ জন আইনজীবী। আদালত ও বিচারকদের আমি যথেষ্ট সম্মান করি। অথচ আমাকেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় নিরপেক্ষ তদন্ত রিমান্ড ছাড়াও হতে পারে। ’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমি ছাত্রদল ও কৃষকের সভাপতি ছিলাম। এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। রিমান্ড বাদেও মামলার তদন্ত হয়। প্রতি মাসে বিভিন্ন মামলায় ১০/১৫ দিন আদালতে হাজিরা দিতে আসি। আমার পরিবারে ৯ জন আইনজীবী। আমার জন্য লজ্জাজনক যে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো মামলায় আমাকে আসামি করা হলো। আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি এর মতো লজ্জার ঘটনা জীবনে নেই।

news24bd.tv/Aa