আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার ২৭৯

সংগৃহীত ছবি

আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার ২৭৯

অনলাইন ডেস্ক

মাত্র ১৩৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দল যখন বিপদে, তখন আসালাঙ্কা করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৭৯ রানের পুঁজি পেয়েছে লঙ্কানরা।  

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

এরপর বড় জুটি হলেও, বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না কোনো লঙ্কান ব্যাটার। তবে অন্যরা উইকেট বিলিয়ে এলেও আসালাঙ্কা তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১০১ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান তিনি।

আসালাঙ্কার এই সেঞ্চুরিতেই শেষ পর্যন্ত লড়াকু স্কোর পায় লঙ্কানরা।

৪৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৭৯ রান তুলে অলআউট হয় দলটি।

অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে আজ প্রথম ওভারেই দলকে সফলতা এনে দেন পেসার শরীফুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে শরীফুলের আউটসাইড অফের বল তাড়া করতে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী হন পেরেরা। ৪ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।  পরে ৬১ রানের জুটি গড়েন পাতুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।

কিন্তু বল হাতে তুলে নিয়েই এই জুটি ভাঙেন সাকিব। ১২তম ওভারে তার তৃতীয় বলে লং-অনে শরীফুলকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস, থামেন ৩০ বলে ১৯ রান করে। পরের ওভারে ওপেনার নিশাঙ্কার উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ইনসাইড এডজ হয়ে বোল্ড হন দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন তিনি।

দুই ওভারে দুই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে আবার কক্ষপথে ফেরান চরিথ আসালাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে তাদের ৬৩ রানের জুটিও ভাঙেন সেই সাকিব। সামারাবিক্রমাকে ৪১ রানে ফেরান তিনি। এরপর দুর্ভাগ্যয়ের শিকার হয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজও। টাইমড হয়ে কোনো বল না খেলেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এতেই অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।  

কিন্তু ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৭৮ এবং মহিশ তিকশানার সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ে লঙ্কানদের পথে ফেরান আসালাঙ্কা। পথে তুলে নেন আন্তর্জাতিক ওয়ানদের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে ১০৮ রানে থামেন আসালাঙ্কা। তাকে ফেরান তানজিম সাকিব।

এর আগে, ৩৪ রান করা ধনাঞ্জয়াকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২২ রান করা তিকশানা ফেরান শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। তানজিদ সাকিব তার শিকার বানান কসুন রজিতাকে (০)। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক রানআউট করেন দুশমন্ত চামিরাকে (৪)।

news24bd.tv/SHS