উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ (পঞ্চম পর্ব)

সংগৃহীত ছবি

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ (পঞ্চম পর্ব)

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে সই করলেন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এএকে নিয়াজী। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর কাছে সেই স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম হলো নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। ঐতিহাসিক সেই আত্মসমর্পণের দলিলের খসড়া নিজে লিখেছিলেন তখনকার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল (অব.) জেএফআর জ্যাকব।

শুধু দলিলের খসড়া রচনাই নয়, নিয়াজীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার কৃতিত্বও তার। যাকে আমরা জে এফআর জ্যাকব নামেই জানি।

জে এফআর জ্যাকব ২০১০ সালে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে লেখেন, ‘ভবিষ্যতের গর্ভে বাংলাদেশের জন্য কী অপেক্ষা করছে বলতে হলে আমি বিচক্ষণ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি প্রাণবন্ত জাতি ও দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতি দেখতে পাই। বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে আবির্ভূত হয়ে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর আগে আইএমএফ প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ ও ভারত একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ, যা ৫০টি বৃহৎ অর্থনীতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু আজকের এই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথটা এতটা মসৃণ ছিল না। কারণ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মলগ্ন থেকেই রক্তবন্য দেখেছে বাংলার মানুষ।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন খাদের কিনারা থেকে তুলে এনে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করেন, ঠিক তখনই শত্রুপক্ষ সদলবলে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ে এবং সে সময়টায় দায়িত্ব গ্রহণকারী শাসকরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়ে উঠে। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। তবে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বাধা দূর করতে সক্ষম হন এবং বিচারকার্য সম্পন্ন করেন।

দায়িত্ব নিয়েই তিনি পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার মনোবাসনায় কাজ করে চলেছেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, দারিদ্র্য পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে স্বাধীনতার পরপর সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘বাস্কেট কেস’ অর্থাৎ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দিয়েছিলেন।  

তিনি বলেছিলেন, দেশটি বৈদেশিক ঋণ ফেরত দিতে পারবে না। তার ধারণাও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ঋণ পরিশোধে সফল দেশগুলোর অন্যতম।  

২০২১ সালের ১০ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিকোলাস ক্রিস্টফ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ৫০ বছর আগে এই মাসে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি জন্ম নিয়েছিল জেনোসাইড, দারিদ্র্য ও ক্ষুধার মধ্যে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দারিদ্র্য বিমোচনের উপায় জানতে বাংলাদেশের নিকট থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় জার্নাল ওয়ালস্ট্রিট লিখেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ‘তেজি ষাঁড়’। বিশ্বনেতাদের কারো কারো মতে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল; কারো মতে, অফুরন্ত সম্ভাবনার বাংলাদেশ। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ভাষ্যকার মাইক বার্ড লিখেছেন, একসময় দক্ষিণ কোরিয়াকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে উদাহরণ দেওয়া হতো। এখন বাংলাদেশের উদাহরণ দেওয়া হয়।

স্বাধীনতার ৫১ বছরে বাংলাদেশের অর্জনগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন সময়েই হয়েছে। এবং ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর টানা তিনবারের শাসনামলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং প্রায় সবটাই দৃশ্যমান।

বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃশ্যমান ভূমিকা আজ বিশ্বসমাদৃত।  

পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, বিনিয়োগ বিকাশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বপরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।  

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে এসেছে নতুন যুগ। স্বীকার করতে হবে, বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশ ফিরে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে অন্যান্য দেশ। করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক অতিমারিতেও বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখা যায়নি। বর্তমান সরকার এই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা মোকাবিলার সক্ষমতায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ও বিশ্বে বিশতম।

২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘দিন বদলের সনদ’ শিরোনামে নির্বাচনী ইশতেহারে স্বপ্ন ছিল রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের। এরপর ২০১৪ সালের সরকার গঠন করে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে ইশতেহার দিয়ে। গ্রহণ করে ১০টি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প। ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ইশতেহার প্রণয়ন করে, ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে ‘নিরাপদ ব-দ্বীপ’ প্রণয়নের রূপরেখা প্রদান করে। টানা তিন মেয়াদে বর্তমান সরকার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৭৩৩টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। শত শত প্রকল্পের মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে ইতোমধ্যে। বাকি কিছু প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পঞ্চম পর্বে থাকছে বিভিন্ন জেলার নানান প্রকল্পের বিস্তারিত..

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
গত ১৪ বছরে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেলযোগাযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, তিস্তা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতুসহ শত শত সেতু, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ করেছে সরকার।

এছাড়া ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার, তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওয়ার, কমলাপুর-শাহজাহানপুর ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার, চট্টগ্রামে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ বহুসংখ্যক ছোট-বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে।

এক পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সড়ক পথে ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। এই সেতুর ফলে দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। ছয় মাসে ২৮ লাখ গাড়ি পারাপার হয়েছে, এতে সরকারের আয় হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা।

এ সরকারই প্রথম ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা, ঢাকা-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করে। ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম এ ধরনের মহাসড়ক। এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক, আরিচা মহাসড়ক এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী বছর যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পর্যন্ত এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য রেল চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। গত নভেম্বরে একদিন ১০০ সেতু এবং ডিসেম্বরে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা হয়। দেশের উন্নয়নের ইতিহাসে এ এক অনন্য অর্জন।

২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭১৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ, ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ।  শুধু বাংলাদেশেই নয়, চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল সড়কপথ- বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হয় গত মাসেই। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২০১৮ সালের মে মাসে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছে সরকার। এভাবে একের পর এক মেগা থেকে  শুরু করে ছোট ছোট  প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

বিভিন্ন জেলার নানান প্রকল্পের বিস্তারিত...

সিরাজগঞ্জ

যমুনায় দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু ডুয়েলগেজ রেল সেতুর ডিজাইন থেকে নেওয়া
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রকল্প সমুহ

টাঙ্গাইল

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে টাঙ্গাইল জেলার প্রকল্প সমুহ
টাঙ্গাইলের দু'টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে ১৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন  প্রকল্প 

জামালপুর

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জামালপুর জেলার প্রকল্প সমুহ
জামালপুরে অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ এক হাজার ১৩ কোটি টাকার বেশি

গাইবান্ধা

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গাইবান্ধা জেলার প্রকল্প সমুহ

বগুড়া 

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বগুড়া জেলার প্রকল্প সমুহ

জয়পুরহাট

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জয়পুরহাট জেলার প্রকল্প সমুহ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি তাঁর সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে দেশের জনগণকে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করার মাধ্যমে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে উন্নয়নশীল এবং মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সত্যিকার অর্থেই বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য, সুদক্ষ, দূরদর্শী, সাহসী এবং সৃজনশীল নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে প্রিয় বাংলাদেশ ।

আরও পড়ুন : উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ (চতুর্থ পর্ব)

আরও পড়ুন : উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ (তৃতীয় পর্ব)

আরও পড়ুন : উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ (দ্বিতীয় পর্ব)

আরও পড়ুন : উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

আগামীকাল থাকছে আরও বিভিন্ন জেলার নানান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে শেষ পর্ব...

news24bd.tv/AA