বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রূপকের পদত্যাগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রূপকের নামে ওই পদত্যাগ পত্রটি উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো হয়। তবে পদত্যাগ পত্রটি তিনি পাঠাননি, বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
পদত্যাগ পত্রটি অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ স্বাক্ষর করা হলেও সেটি পাথরঘাটা পৌঁছেছে চলতি মাসের মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর)।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগ পত্রের কারণ সমূহ তৈরি করেছে জল্পনা কল্পনার। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জামায়াতের দণ্ডপ্রাপ্ত প্রয়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলাসহ বর্তমান সরকারের নানা নেতিবাচক সমালোচনা করে দল থেকে পদত্যাগ করতে চিঠিটি পাঠানো হয়।
মিজানুর রহমান রূপকের ঐ পদত্যাগপত্রটি ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন পাথরঘাটা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পিয়ার। এরপরে মুহূর্তে মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে জানাজানি হয় এটি একটি উড়ো আবেদন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পিয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের বসা ছিলাম এসময় সভাপতি ও সম্পাদক বরাবরে রূপকের নাম দিয়ে একটি চিঠি আসলে আমরা সাংগঠনিক চিঠি ভেবে সেটি খুলে দেখি। চিঠি খুলেই পদত্যাগের বিষয়টি দেখে আমি রাগের বশবর্তী হয়ে সেটি ফেসবুকে পোস্ট করি। পরবর্তীতে জানতে পারি এটি একটি উড়ো চিঠি। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গুজব সৃষ্টিকারীদের ষড়যন্ত্রেও একটি অংশ।
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রূপক বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরেই ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই মিথ্যা ও বানোয়াট পদত্যাগ পত্র ছড়িয়ে আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ও সম্মান হেয় করছে। আমি এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন বলেন, চিঠিটি রেজিস্ট্রি যোগে ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে তবে ঠিকানা লেখা হয়েছে পাথরঘাটা। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতা কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত বিএনপি। এটি তাদের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। পদত্যাগপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দলের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।